সঞ্জনা রায়
কাকভোরে কারা এত সারিবদ্ধভাবে হাঁটছে— ভাবতে ভাবতে
মৃত্যুর কাছে খানিক সময় চাইলাম,
রাস্তার দু-পাশের গাছেরা বুক খালি করে
সমস্ত ভেজা বাতাস এনে রেখেছে
হাঁটবার সুপ্রশস্ত পথে, ওদের কোমরে
কুঁচকে যাওয়া সাদা বোঁচকা।
মৃত্যুকে যেখানে দাঁড় করিয়ে রেখে এলাম
আকাশ জুড়ে অসংখ্য চাঁদ সেখানে,
যাত্রার শুরুর দিন থেকেই গা-এ গা লাগিয়ে
পড়ে থাকা চাঁদগুলো এদের শক্ত মুঠোর ভেতরে ঢুকে
আরও নিদারুণ কোনো রূপ পেতে চাইছে,
সমস্ত দিক-সচেতন নক্ষত্র
নিজেদের বিন্যস্ত করে যাচ্ছে অসীমে।
লোকগুলো রাস্তার ফাটল ধরা মাইলফলকের কানায় ঝুলে থাকা
সুপরিকল্পিত মৃত্যুর কাছে যায়, কালো জলায়
গা ডুবিয়ে থাকা মৃত্যুর কাছে যায়, জীর্ণ বাড়ির
দরজায় লেগে থাকা ছোপ ছোপ মৃত্যুর কাছে যায়।
নিজেদের চোখ খসিয়ে রেখে আসে, আবার হাঁটে—
নিশ্চল পৃথিবীর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হতভম্বের মতো দেখে
কেমন করে স্বপ্নেরা হাঁটতে হাঁটতে
তারই কক্ষপথে একের পর এক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে চলেছে।