সাম্প্রতিক কৃষি আন্দোলন: প্রেক্ষিত ও অভিমুখ

পি. সাইনাথ

ভাষান্তর ও অনুলিখন: চেতনা

কৃষি আইন ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সম্পর্কিত আমার মতামত পেশ করতে চাই পাঁচটি বিষয়ের অবতারণা করে।

প্রথমত, যে আইন বলবৎ করার চেষ্টা হচ্ছে, কৃষিসঙ্কট শুধু তার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে জড়িত নয়, বরং তা দেশের বৃহত্তর চলমান কৃষিসঙ্কটের সঙ্গে জড়িত। মনে রাখতে হবে, এই আইন প্রত্যাহার করলেই কৃষি সমস্যার সমস্ত সমাধান হয়ে যাবে না। প্রকারান্তরে, আন্দোলন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফিরে যেতে হতে পারে  কৃষিসঙ্কটের শোচনীয় অবস্থায়।

দ্বিতীয়ত, অতিমারি, অনাহার, কৃষিসঙ্কট সহ সকল সঙ্কট ভারতবর্ষের অসাম্যের যে মৌলিক কাঠামো, বলতে গেলে একেবারে তার মূলের সঙ্গেই সম্পর্কিত।

তৃতীয়ত, এই আইনের ফল শুধুমাত্র চাষিকে ভোগ করতে হবে এমন নয়, ভোগ করতে হবে সকলকে, দেশের প্রতিটি নাগরিককে।

চতুর্থত, এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। আমরা দেখছি কী ভয়ঙ্কর এবং নির্লজ্জ রূপে গণমাধ্যম বুদ্ধিজীবীদের মগজধোলাই করছে। প্রতিফলে আগামী দিন কৃষক সম্প্রদায় তথা সমগ্র জাতি নিদারুণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

পঞ্চমত, এই কৃষিসঙ্কটের সামনে দাঁড়িয়ে কী হবে আমাদের প্রতিক্রিয়া।

আইনসমূহ আপত্তিকর, কারণ— 

(১) এই আইন প্রত্যেকের ক্ষতি করতে পারে

(২) কৃষিসঙ্কটের সঙ্গে সম্পর্কিত এর একটা ইতিহাস আছে 

(৩) আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটো ধারা— কৃষিপণ্য বাজার কমিটি (APMC-Agriculture Produce Market Committee) এবং চুক্তিবদ্ধ চাষ (Contract farming)।

আইনের ১৩, ১৫, ১৯ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কোনো আধিকারিক অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি যিনি এই আইন মোতাবেক সরল বিশ্বাসে অথবা সদিচ্ছায় কাজ করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা যাবে না। যার অর্থ হলো এই যে, এই সমস্ত ব্যক্তিবর্গ শুধু যে অপরাধ করেছেন তার থেকে নয়, যা আগামীদিনে করতে পারেন, তার থেকেও রেহাই পাবেন। এই অন্য কোনো ব্যক্তিরা কারা? চাষিরা আগেই চিনেছেন তাদের, কিন্তু বুদ্ধিজীবীরা এ ব্যাপারে এখনও পিছিয়ে আছেন। হ্যাঁ, এঁরা হলেন আম্বানি, আদানি এবং এঁদের মতো আরো কিছু গোষ্ঠীর মানুষজন। অর্থাৎ, এককথায় বললে, কর্পোরেট সংস্থাসমূহ।

উল্লেখ্য যে, এই আইন অন্যান্য আইনের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে চলেছে। যেমন, ‘গোহত্যা নিবারণ আইন’ (Cowslaughter ban law), যা কর্ণাটক সরকার এখনও কার্যকর করে উঠতে না পারলেও একটি অর্ডিন্যান্স জারি করার মধ্যে দিয়ে রুজু করতে চাইছে। যেটি ভীষণভাবে ‘বিশ্বহিন্দু পরিষদ’ (VHP) এবং ‘বজরং দল’-কে সুরক্ষা দিতে পারে। আবার যারা আইনগুলো কার্যকর করতে চাইছেন, তাঁদের ভাবা হচ্ছে সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী। সর্বোপরি, এখানে দেওয়ানি আদালতে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করার অধিকার (jurisdiction) থাকবে না। কিছু প্রশাসনিক আধিকারিক, যেমন সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, কালেকটর, ডেপুটি কালেকটর প্রমুখদের বিশেষ রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে বিচারকের আসনে বসানো হচ্ছে। ফলে এই আইন যে জেলা ‘সিভিল কোর্ট’, তথা আইনি বৃত্তির বিরাট ক্ষতি করবে, তা বলাই বাহুল্য। দিল্লির Bar Council আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কারণ, সংবিধানের ৩২ নং ধারা (যে ধারাকে ‘মৌলিক অধিকার’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা হিসাবে বিবেচনা করা হয়) অনুসারে আইনি অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের আইনি ব্যবস্থা (legal remedy) নেওয়ার প্রচেষ্টাকে উল্লিখিত কৃষি আইন বানচাল করে দিতে পারে। সর্বোপরি, এই আইন PDS (Public Distribution System) ব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং মজুতদারি (bufferstock) কে উৎসাহিত করতে পারে। এগুলো চলে যেতে পারে আদানি, আম্বানিদের হাতে। অন্যদিকে কৃষিপণ্য বাজার কমিটির মৌরসি পাট্টার কবলে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের ‘খাদ্য নিরাপত্তা’-র বিষয় উপেক্ষিত থেকে যেতে পারে।

এখানে আইনগুলোর ভাষা ভালো করে বুঝে নিতে হবে। কৃষিপণ্য বাজার কমিটি এবং মান্ডির একচেটিয়া আধিপত্যের এই প্রেক্ষিতে বুদ্ধিজীবীরা যেন দলদাস না হয়ে যান। খোলা চোখে দেখলে কেরালা, কর্ণাটক বাদে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সরকারি স্কুলের হাল শোচনীয়। প্রাথমিক স্কুলগুলোর পরিকাঠামোর কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। আমরা শিক্ষায় ডিজিটাইজেশান আনতে চলেছি, ব্ল্যাকবোর্ড ছেড়ে ট্যাব(লেট), স্মার্টফোন ব্যবহারে উৎসাহিত করছি, তখন ভুলে যাই দেশের লক্ষ লক্ষ শিশুর জন্যে শিক্ষার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। তাদের মুখে তো ভালো করে দুবেলা দুমুঠো গ্রাসই ওঠে না। এই অবস্থায় কি আমরা সরকারি স্কুল ছেড়ে শুধু আম্বানি, বিড়লাদের মতো স্কুলে পড়াশোনার কথা ভাবব? কোনো অবকাশ নেই তা ভাবার। সেক্ষেত্রে, লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে যাবে। মনে রাখতে হবে,সরকারি স্কুল যেমন শিক্ষাক্ষেত্রের এপিএমসি (APMC), প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং জেলা হাসপাতাল তেমনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের এপিএমসি (APMC) এবং মান্ডি। আমরা মান্ডির সংস্কারের কথা বলছি। কিন্তু, খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, সংস্কারের নামে আসলে তা  পুনর্লিখনের চেষ্টা চলছে। যা ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নে কর্পোরেট সেক্টরের পক্ষেই বেশি করে কাজ করবে।

বৃহত্তর কৃষিসংকটের বিষয় এবার বিশদে বুঝে নেওয়া যাক:

প্রথমত, এই তিন আইন হল ভারতীয় কৃষির কর্পোরেট হাইজ্যাক, দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা ঘোষণা করেছেন। এই কৃষক আন্দোলনকে তাই বলাই যায়, এই সময়কালের মহাবিপ্লব।

দ্বিতীয়ত, যে পদ্ধতিতে এই আইন প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে, তা হল ভারতীয় কৃষির ভয়ঙ্কর বাণিজ্যকরণ। বলার অপেক্ষা রাখে না, এখানে শিকারি অর্থে কর্পোরেট ছাড়া আর কেউ নয়। ভাবতে অবাক লাগে যে, প্রতি একর চাষে একজন ভারতীয় চাষির খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ, এমনকি তারো বেশি। কিন্তু, সেই অনুপাতে কি তার উপার্জন বেড়েছে? মোটেই না। কারণ, কর্পোরেট দুনিয়াই সব গ্রাস করে নিচ্ছে। এই শোষণ শৃঙ্খলকে সংগঠিত করছে মোদি-শাহ জুটি। তৈরি হচ্ছে এক দানবীয় প্রতিপক্ষ, যার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, লড়তে হবে চাষিদের।

তৃতীয়ত, প্রচুর সংখ্যক পূর্ণ সময়ের চাষির স্থানান্তর (displacement), ১৯৯১ থেকে 

২০১১-র জনগণনায় চোখ রাখলে দেখা যায়, প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ কৃষিক্ষেত্র থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। অতিমারির সময় অবাক হয়ে দেখতে হল, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যের কর্মক্ষেত্র থেকে বাসস্থানে ফিরছেন স্থানচ্যুতির ভিন্ন অভিমুখে (reverse displacement)। কিন্তু প্রশ্ন  হল, ফিরে কী করবেন তাঁরা? তারও আগের প্রশ্ন, নিজ নিজ স্থান থেকে এসেছিলেনই বা কেন? কারণ সেখানে শিল্পভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠেনি। বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে মেলেনি কোনো কাজ। তাই নয় নয় করে, ৪০ শতাংশ কৃষক পরিবারের মানুষ অন্যত্র পাড়ি দিয়েছিলেন কাজের সন্ধানে, জীবিকার আশায়।

কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে অতিমারি। কোভিড-১৯ বাস্তবে জায়মান আর্থ-সামাজিক বৈষম্যকে ভীষণভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা শুরু থেকে ৪/৫ মাসের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় ১২০ জন ক্রোড়পতি তাদের সম্পদকে এক তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁদের সম্পত্তির বর্তমান পরিমাণ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ বিলিয়ন ইউ.এস.ডলার। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গেই জড়িত কর্পোরেট সংস্থাগুলো তাদের তহবিল বাড়িয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, যেখানে জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন। অবশ্য এদের মধ্যে সবচেয়ে ধনীসংস্থা আম্বানি অতিমারির আগেই ২০১৭ সালে তার সম্পদ বাড়িয়েছে ১৬.৯ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা। এসব সম্ভব হলো কেন? সরকারের ভ্রান্ত পরিবর্তনশীল অর্থনীতি।

শিক্ষাক্ষেত্রের কথা ভাবুন। বাইজু’স (BYJU’S) থেকে শুরু করে যে সব সংস্থা অনলাইন পাঠদানের প্রক্রিয়ায় টাকা ঢালছে তারা তাদের সম্পদ ৫.৫ থেকে ১২ বিলিয়ন ইউ.এস.ডলারে বাড়িয়ে নিয়েছে, অর্থাৎ,দ্বিগুণ। কী! নির্লজ্জ ফিকির। অন্যদিকে স্কুল বন্ধ, মিড-ডে-মিল বন্ধ। বাড়ছে লক্ষ লক্ষ গরিব শিশুর অনাহার, অপুষ্টি। আর গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে, পশ্চিমবঙ্গের কজন মেয়ের হাতে স্মার্টফোন আছে যার দ্বারা তারা পি.ডি.এফ ডাউনলোড করতে পারে বা সাধারণভাবে পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে পারে? বৈষম্যের ছবি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সারণির সাহায্যে বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে:

অপেক্ষাকৃত অধিক সমতাবাদী (‘egalitarian’) বা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রের (welfare state) বৈষ্যমের ছবি কিছুটা কম। এবার ইতিহাসে ফেরা যাক। ২০১১ সালের তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সভাপতি করে একটি কমিশন গঠন করেন, যার নাম consumer’s affairs group (উপভোক্তা বিষয়কক সংগঠন)। মোদি স্বাক্ষরিত এই সংস্থার (বার্ষিক) প্রতিবেদনে বেশ কিছু বিষয় উত্থাপিত হয়, যা আজ আমাদের বিতর্কের বিষয়। সবিশেষ উল্লেখযোগ্য, উক্ত প্রতিবেদনের ৩(খ) সূচকে লিখিত বাক্য— “MSP (minimum support price)-এর বাইরে কোনো বিনিময় নয়,” অর্থাৎ কি না চাষি এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো সরাসরি আদানপ্রদানের সুযোগ থাকবে না। 

২০১৮ সালের বাজেট বক্তৃতায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর বক্তৃতার ১৩ এবং ১৪ নং অনুচ্ছেদে ঘোষণা করেন, ২০১৪ সালে সরকার ক্ষমতায় এসে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, তা সবই পূরণ করেছে। রবিফসলের ক্ষেত্রে তো বটেই,খরিফের ক্ষেত্রেও যা বাস্তবে সত্যি নয়।

সবশেষে উল্লেখ করতে হয়, এই সব প্রচারের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা। সরকারের বিভিন্ন মুখপাত্র বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার তর্কবিতর্কে অংশ নিয়ে অন্ধভাবে সরকারের পক্ষে গেয়ে চলেছেন, যেমন আই.এম.এফ. এর ভারতীয় ডিরেক্টর। অন্যদিকে ইউ.এন.ও (U.N.O)-র ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুরজিৎ ভাল্লা সরাসরি বলেছেন, এই কৃষক আন্দোলন আসলে ধনী চাষিদের মধ্যে সমাজবাদের দাবিতে আন্দোলন। সত্যিই কী তাই? আসুন, ভারতের রাজ্যভিত্তিক কৃষক পরিবারের মাসিক উপার্জনের ছবি একবার দেখে নিই। মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ জন সদস্য সমন্বিত কৃষক পরিবারের মাসিক গড় আয় ৬৪২৬ টাকা,অবশ্য পাঞ্জাব এবং বিহারের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ যথাক্রমে ১০,৮০০ টাকা এবং ৩০০০ টাকা। তাহলে কি আমরা পাঞ্জাবকে বিহারে নামিয়ে আনব না কি বিহারকে পাঞ্জাবে উন্নীত করব? এবং তাই-ই হবে সমাজবাদে (socialism) উত্তরণ?

আজ সমগ্র বুদ্ধিজীবী মানুষকে (মিডিয়ার মতে ‘certified intellectuals’) স্বচ্ছ 

যুক্তির আলোয় চালিত হয়ে এই অপপ্রচার রুখতে হবে। মনে রাখতে হবে, চাষির স্বার্থ শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, তার সঙ্গে জড়িত বৃহত্তর তথা সমগ্র জাতির স্বার্থ। তাই অঞ্চল, ব্লক স্তরে এবং শহরেও “কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” (“save farmer, save nation”) কমিটি গড়ে তুলতে হবে। কারণ, চাষ এবং দেশ জৈবনিকভাবে যুক্ত।

মূলত চার পাঁচটি দাবিদাওয়া এবং বিষয় সামনে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে:-

(১) অবৈধ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

(২) পার্লামেন্টের অধিবেশনে মাঝে মাঝেই কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটা বিষয়কে আলোচনায় আনতে হবে। যেমন, ‘জল বেসরকারিকরণ’ যে পরিকল্পনা ‘নীতি আয়োগ’-এর প্রশ্রয়ে উঠে আসছে।

(৩) স্থানীয়ভাবে ছোটো ছোটো কার্যালয় খুলে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। কর্পোরেট দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়ে কর্পোরেট বিরোধী আন্দোলনক জোরদার করতে হবে।

(৪) সারা দেশের কৃষকদের হাল হকিকত, কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস, আন্দোলনের সত্যাসত্য সম্বন্ধে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

(৫) স্থানীয় ছোটো সংগঠনগুলি আঞ্চলিক সমস্যা ও সমাধানের দাবি উত্থাপন করবে। বৃহৎ গণজাগরণের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।

সৌজন্যে: রাইট টু এডুকেশন ফোরাম ও জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ একাডেমিসিয়ান্স

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান