ডা. সুমিত দাশ
মানুষের জীবনে চারটি দশা আছে। শৈশব, কৈশোর, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বার্ধক্য। একটি থেকে আর একটির উত্তরণের সময় মানুষের শারীরিক মানসিক নানা পরিবর্তন হয়। তার সঙ্গে চলে তার সামাজিক হয়ে ওঠা বা সমাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। আর এভাবেই সে হয়ে ওঠে এক পূর্ণ মানুষ।
আর এই চারটি দশায় উত্তরণের পর্যায়ে মানুষকে যেতে হয় তিনটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে। তার মধ্যে শৈশব থেকে কৈশোরের পরিবর্তনটি সবথেকে উত্তেজনাপূর্ণ। একটি শিশু হঠাৎই পেয়ে যায় প্রাপ্তবয়স্ক চেহারা। কিন্তু, পরিবার বা সমাজের কাছে তখনও সে বাচ্চামানুষ। যেটাকে বলা যায় — সিনেমা দেখতে গেলে তাকে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের দাম দিতে হয় কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক বা ‘এ’ ছাপ দেওয়া সিনেমা সে দেখতে পারবে না!
একটা জিনিস বলে নেওয়া যাক। বাংলা ভাষায় কৈশোর আর বয়ঃসন্ধিকে একই অর্থ করা হয়। সম্ভবত শৈশব আর প্রাপ্তবয়স্কতার সন্ধিকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে কৈশোরকে এভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এখন দেখে নেওয়া যাক বয়ঃসন্ধিকালে কী পরিবর্তন হয় বা কোন্ বয়সটাকে বলা যায় বয়ঃসন্ধিকাল।
বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন : —————————————-
বয়ঃসন্ধিকালের বয়স মোটামুটি ১২ থেকে ১৯ বছর ধরা যায়। এই সময় তার দেহে নানরকম পরিবর্তন আসে।
শারীরিক পরিবর্তন :
এই সময় হঠাৎ করে মানুষটি বড়ো হয়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৪ বছর বয়স হচ্ছে সব থেকে বাড়ার সময়। তাদের উচ্চতা ৩-৫ ইঞ্চি বেড়ে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বয়সটা হচ্ছে ১১-১২ বছর। তাদের উচ্চতা ২-৪ ইঞ্চি বেড়ে যায়।
এই বয়সে পিউবার্টি আসে অর্থাৎ যৌনতার বিকাশ হয়। যৌন-অঙ্গও বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা প্রাইমারি সেক্সুয়াল ক্যারেকটারের পরিবর্তন। ছেলেদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ, প্রস্টেট গ্ল্যান্ড, সেমিনাল ভেসিকেল। মেয়েদের ক্ষেত্রে ওভারি, ইউটেরাস, যোনি। এছাড়া আরও কিছু বাহ্যিক পরিবর্তন হয়, যেগুলোকে গৌণ বা সেকেন্ডারি সেক্সুয়াল ক্যারেকটার বলা হয়। যেমন, পিউবিক হেয়ার তৈরি হয়। গলার স্বরের পরিবর্তন হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তনের বৃদ্ধি হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে আর একটি বিশেষ পরিবর্তন হচ্ছে মাসিক রজস্রাব বা পিরিয়ড শুরু হওয়া। অধিকাংশ দেশে এই পিরিয়ড শুরু হওয়ার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পিউবার্টির বয়স ক্রমশ কমছে। অ্যামেরিকাতে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে গড়ে ১৭ বছর বয়সে এই পিরিয়ড শুরু হত। তারপর প্রতি দশকে মোটামুটি ৪ মাস করে কমতে কমতে বর্তমানে সাড়ে বারো বছরে দাঁড়িয়েছে।
মানসিক পরিবর্তন :
বয়ঃসন্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক পরিবর্তন ঘটে। মানুষটির জ্ঞানের বিস্তার হয়। বাচ্চারা সবকিছু আক্ষরিক ভাবে বোঝে। কিন্তু কিশোরদের বোঝার মধ্যে যুক্তি আসে। আসে অন্তর্নিহিত অর্থ বা বিমূর্ত অর্থ খোঁজার ক্ষমতা। যেমন, আইন মানা হয় কেন — এর উত্তর একটা বাচ্চা হয়তো দেবে, যাতে মানুষ জোরে গাড়ি না চালায় তার জন্য আইন। আর এক কিশোর হয়তো বলবে, আইন করা হয়েছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য।
এই বয়সে সামাজিকতার শুরু। কিশোররা তার বয়সী ছেলে-মেয়ের সঙ্গেই গোষ্ঠীবদ্ধ হতে পছন্দ করে। এই বয়সে বন্ধুদের কথাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসে৷ বন্ধুদের প্রভাবে অনেক সময় এমন কিছু করে ফেলে যেটা সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবুও একটি বাচ্চা যদি এই বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারে তবে তার বিকাশ সঠিক পথে হচ্ছে বলে ধরা হয়।
এই বয়সে নৈতিকতার ধারণা তৈরি হয়। নৈতিকতাও ধাপে ধাপে তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বাড়ির লোকের শিক্ষা-দীক্ষা এবং নৈতিকতার প্রভাব সব থেকে বেশি হয়। তাছাড়া প্রভাব ফেলে বন্ধুদের চিন্তা-ভাবনা। নৈতিকতার সঙ্গে বাচ্চাটির যুক্তিবাদী এবং বিমূর্ত চিন্তা করার ক্ষমতার সম্বন্ধ আছে। যেমন ধরা যাক, একজন ক্ষুধার্ত বাচ্চার বাবা তার বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য চুরি করতে পারে কিনা — এই প্রশ্নটা রাখা হল। যেহেতু বাচ্চারা অন্যায় করলে বাবা-মা বা স্কুলশিক্ষক শাস্তি দেন। তাই বাচ্চাদের মাথায় এই সমস্যার উত্তর হয় — চুরি করলে ধরা পড়তে পারে, তখন তার শাস্তি বা জেল হতে পারে তাই চুরি করা উচিত নয়। আর একটু বয়েসে হয়তো উত্তর দেবে — চুরি করার বিরুদ্ধে এদেশে আইন আছে তাই চুরি করা উচিত নয়। কিন্তু আর একজন কিশোর যার বিমূর্ত চিন্তা করার মতো মানসিক বিকাশ হয়েছে, সে হয়তো উত্তর দেবে, সবাই যদি তার প্রয়োজনে আইন ভাঙতে শুরু করে তাহলে তো সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
আত্মমর্যাদা আর একটি বিষয় যেটা এই বয়সে তৈরি হয়। এটা সে তার নিজের সাফল্য দিয়ে বোঝে বা বাড়ির লোক এবং বন্ধুরা তাকে কতটা মূল্য দিচ্ছে সেটা দিয়ে বিচার করে। এই বয়সে দেখা গেছে আত্মমর্যাদার মূল মাপকাঠি সে ধরে তার শারীরিক গঠনের উৎকর্ষের ওপর। এবং বন্ধুরা বা বাড়ির লোক তাকে এ বিষয়ে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে তার ওপর। তারপর আসে তার পড়াশোনা, খেলাধুলো বা অন্যান্য বিশেষ পারদর্শিতা। যেমন, ছবি আঁকা, গান গাওয়া ইত্যাদি। প্রত্যেকটা বিষয় বন্ধুবান্ধব এবং বাড়ির লোকের কাছে কতটা গৃহীত হচ্ছে সেটার ওপর তার আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
এই সাধারণ ধারণাগুলি নিয়ে আমরা যাব বয়ঃসন্ধির পরিচিতির সমস্যায়।
পরিচিতির সমস্যা :
এই সেই বয়স যখন তার বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে বড়োদের আলোচনাতে তাদের অপছন্দের কথা বললে তাকে বলা হয়, থাক আর পাকা পাকা কথা বলতে হবে না, বাচ্চা বাচ্চাদের মতো থাকো। আবার ছোটদের মতো কোনও জিনিস চাইলে বলা হয়, তুমি আর কচি খোকাটি নও যথেষ্ট বড়ো হয়েছ, এসব তোমায় মানায় না। তার ভাবনায় তখন আসে তাহলে ‘আমি কে?’। এই পরিচয় খুঁজতেই তার পরিচিতির সমস্যা তৈরি হয়।
‘পরিচিতি’ বা ‘আইডেন্টিটি’ বলতে বোঝানো হয় পারিপার্শ্বিক পরিবেশের যে টানাপোড়েনের মধ্যে একজন কিশোর যখন বড়ো হয়ে ওঠে তার মধ্যেও নিজেকে স্থির রাখা। নিজের দক্ষতা সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা রাখা অর্থাৎ সে কী করতে পারে এবং পারে না সেই ধারণা। নিজের শরীর নিয়েও সন্তুষ্ট থাকা এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা।
এরিক এরিকসন (১৯০২-১৯৯৪) একজন মনোবিদ এবং দার্শনিক। তিনি বলেছেন এই বয়সে সমাজে তার কী ভূমিকা এবং তার কী পরিচিতি এই দ্বন্দ্বই বিকাশের মূল উপজীব্য। অর্থাৎ সে প্রাপ্তবয়স্কের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হবে কিনা। অনেকেই যেন কিছুটা ইচ্ছে করেই দেরি করে। এটাকে এরিকসন বলেছেন সাইকোসোশ্যাল মোরাটোরিয়াম (psychosocial moratorium)। এই সময় কিশোর কিশোরীরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করে তার পরিবেশ থেকে। এই তথ্য তার বুদ্ধি বিবেচনা তৈরি করতে সাহায্য করে, যেটাকে পজিটিভ এফেক্ট বলা যায়। আর অনেক ক্ষেত্রে তার ধ্যান ধারণা বাবা-মা বা সমাজের ঠিক উলটো হয়। অর্থাৎ সে যেন হয়ে ওঠে এক বিদ্রোহী৷ তার পোশাক-আশাক আচার-আচরণ হয়ে ওঠে অসামাজিক। একে বলা হয় নেগেটিভ এফেক্ট।
এই বয়সে মূল সমস্যা হয় বাবা মা এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। নৈতিকতা, সামজিক আইন কানুন নিয়ে নিজের বুদ্ধি বিবেচনা নিয়ে ভাবতে শেখার কারণে বাবা মায়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিতর্ক হয়। বাবা-মা যদি খোলামেলা আলোচনায় উৎসাহ দেয় তবে তার সঠিক বিকাশে সাহায্য হয়। দেখা গেছে বাবা মায়ের দিক থেকে চরম আধিপত্য বা চরম শৈথিল্য দুটোই ক্ষতিকর।
মেয়েদের সঙ্গে বাবা মায়ের দ্বন্দ্ব বেশি হয়। যেহেতু এই বয়সে যৌন আকর্ষণ তীব্র থাকে, বাবা-মা চিন্তিত থাকেন মেয়েটির নিরাপত্তা নিয়ে। তাই নানা রকম নিয়ম শৃঙ্খলার কড়াকড়ি করেন। যাতে সে এমন কোনও ছেলের প্রেমে না-পড়ে যাতে তার পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েটি ভাবে এগুলো তার ম্যাচুরিটি এবং স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তাই নানারকম মানসিক টানাপোড়েন চলে।
ছেলেদের সমস্যা আরেক রকম হয়। বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবি করতে থাকে। দামি পোশাক চাই মোবাইল চাই, বাইক চাই পারলে গাড়ি চাই। দেখা গেছে বাবারা এই সময় কড়াকড়ি করে নানারকম নিয়মশৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা করেন আর মায়েরা ভালোবাসা দিয়ে সমাধান করতে চান। তাই মায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
এরপর আসে বন্ধুপ্রীতি এবং বন্ধুদের প্রভাব। সারা জীবনের মধ্যে এই বয়সটা হচ্ছে সবথেকে বেশি বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বয়স। বন্ধুদের দলটাই হয়ে ওঠে তার আশ্রয়স্থল এবং আস্থার জায়গা। বন্ধুদের গ্রুপেই যেন সে খুঁজে পায় তার সেই ‘আমি কে’ পরিচয়টি। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা তার কাছে পড়াশোনার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে এই মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে যেখানে বাস্তবে না থাকলেও ভার্চুয়ালি চব্বিশ ঘন্টাই বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়।
বন্ধুদের গ্রুপের কাঠামোটা সময়ের সঙ্গে পালটায় বা পালটেছে কিন্তু মূল কাঠামোটা মোটের ওপর এক থাকে। দেখা গেছে সমলিঙ্গের মানুষ নিয়েই প্রথমে গ্রুপ তৈরি হয় অর্থাৎ ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা আলাদা গ্রুপ। সাধারনত যার মধ্যে পিউবার্টির চিহ্ন বেশি শারীরিক ভাবে পোক্ত, খেলাধুলো বা অন্য কোনও দক্ষতা আছে এবং বেশিরভাগ মেম্বাররা পছন্দ করে, সে-ই নেতা হয়। তারপর আস্তে আস্তে অন্য লিঙ্গের গ্রুপের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেলামেশা হয় এবং গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড নির্দিষ্ট হয়।
মোটের ওপর এই বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। বাবা মায়ের সঙ্গে বিতর্ক বন্ধুপ্রীতি তারপর তার প্রাপ্তবয়স্ক পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বশীল মানুষ হওয়া। অর্থাৎ তার ‘আমি কে’ পরিচয় খুঁজে পাওয়া।
কিন্তু অনেকেরই জীবনটা এরকম মসৃন হয়না। যদি বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের কিশোর-কিশোরীর দিকে তাকাই, দেখা যায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা গত দু-তিন দশকে খুব বেড়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যৌন শিক্ষা বাড়েনি সেভাবে। তাই অবাঞ্ছিত প্রেগনেন্সি, গর্ভপাতের জটিলতা। নানারকম যৌন রোগ বেড়ে গেছে। যার শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব পড়ছে কিশোরী কিশোরদের ওপর।
আর হয় আচরণগত সমস্যা। স্কুল পালানো, বাড়ি ছেড়ে পালানো এবং নানারকম অপরাধধমূলক কাজে জড়ানো। এছাড়া অনেকে নেশার কবলে পড়ে।মদ, গাঁজা, হেরোইন, ডেনড্রাইট ইত্যাদি।
অনেকে নানারকম মানসিক রোগেও ভুগতে শুরু করে। যেমন অবসাদ, উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি। কেউ কেউ নিজের ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে এত চিন্তিত হয়ে পড়ে যে খাওয়া কমাতে কমাতে এক বিশেষ রোগ অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়ে। কেউ কেউ ভাবতে শুরু করে তার চারপাশে যা ঘটছে তা বাস্তব নয়। সে হয়ে পড়ে বাস্তববিমুখ। সে কানে শোনে অন্য মানুষের কথা (হ্যালুসিনেশান), নিজে বিড়বিড় করে। অনুভূতিগুলোও অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সে হয়ে পড়ে স্কিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগের শিকার।
পরিশেষে :
বয়ঃসন্ধিকে বলা হয় ‘স্টর্ম অ্যান্ড স্ট্রেস’ ( storm and stress)-এর সময়। অর্থাৎ যেন ঝড়ঝাপটা ও চাপের সময়। আমরা যারা প্রাপ্তবয়স্ক বা শুধুই বয়স্ক, এই লেখাটা পড়ছি তাঁরা আমাদের কৈশোরে ফিরে দেখে হয়তো বেশ কিছু মিল খুঁজে পাব, সেই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময় আমরা কীভাবে পার করেছিলাম। কিন্তু যারা সঠিক দিশায় পৌঁছাতে পারেনি তাদের কথাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাবা-মা এবং সমাজের দায়িত্ব ‘আমি কে’ এই পরিচয় খুঁজতে থাকা মানুষটিকে সঠিক রাস্তা দেখানোর কাজটা করে যাবার। নাহলে অনেক কুঁড়ি অকালে ঝরে যাবে।