চন্দ্রিমা বিশ্বাস
“যাও, সেই গাছকে খুঁজে বের করো, যে একান্তই তোমার,” বিজ্ঞানী সুসান সিমার্ড তাঁর Finding the Mother Tree বই-এর উপসংহারে লিখেছেন, “মনে করো, তুমি তার বৃত্তকে জানছ, পড়শিদের চিনছ, সমস্ত ইন্দ্রিয়ের দরজা খুলে এই কাজ করো।” এ লেখা পড়ার কত দশক আগে, পরিবেশকে বাঁচাতে হবে, একটি গাছ, একটি প্রাণ — এ সব জ্ঞানগর্ভ বাণী গলাঃধকরণ করার বহু আগে,আমার গাছকে চিনেছিলাম আমি, কোথাও খুঁজতে হয়নি। আমাকে শোক শব্দের অর্থ শিখিয়ে ছিল, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা কাকে বলে প্রথম বুঝিয়েছিল একটি আমগাছ।
সহবাস
দক্ষিণ কলকাতা সংলগ্ন যে শহরতলি অঞ্চলে আমার বেড়ে ওঠা, আশি-নব্বই দশকে সেখানে ফ্ল্যাটনামক বস্তুটি দেখতে পাওয়া যেত না। বা বলা ভালো, শহুরে শৌখিনতা বিবর্জিত, একই সঙ্গে মফস্সলের স্বতন্ত্র গরিমাহীন ওই পাড়া তখনও ফ্ল্যাট কালচারের যোগ্য হয়ে ওঠেনি। বাড়ির পিছনে কচুরিপানায় ভরা ডোবা, তার পিছনে কোনো এক সম্পন্ন ব্যক্তির জমিতে পোড়ো বাগান। আর বাড়ির চত্বরেই পেয়ারা, নারকেল, সুপুরি, নিমগাছ। উঠোনের এক পাশে শিউলি, অন্য পাশে কাঞ্চন। বলা বাহুল্য, তাদের থেকে দুহাত ভরে শুধু নিয়েছি। আর ফিরিয়ে দেওয়া বলতে সক্কাল সক্কাল দুধে দাঁত ইঁদুরকে উৎসর্গ করে জবাগাছের নীচে পুঁতে রাখা। গাছগাছালিভরা এই বাড়ির বৃক্ষ সংগঠনের এক জাঁদরেল সদস্য দক্ষিণ দিকের আমগাছ।
একটাই আমগাছ। আকারে বিরাট। ডালপালা মেলে সে এমন প্রকাণ্ড আয়তন ধারণ করেছিল যে বাড়ির ছাদ থেকে আর পিছনের ডোবা দেখা যেত না। ফল হত প্রচুর। স্বাদ মোটেও ভালো ছিল না। তাতে কিন্তু গাছের আকর্ষণ একটুও কমেনি। সব ভালোবাসা যে ভোগের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনা, উঠতে নেই— এ শিক্ষা বুঝি অজান্তে তখনই পাওয়া। ফলে ভাগ বসাতে না পারলেও ওই আমগাছের থেকে উপকার পেয়েছি অহরহ। ওর ডালে বসা কত জানা-অজানা পাখির সঙ্গে নিত্য মোলাকাত হত। মাঝেসাঝে পরমাত্মীয়ের মতোই তাদের উৎপাতও মেনে নিতে হত। মধ্যরাতে আচমকা শুরু হত কোকিলের চিৎকার। বাড়ির সকলের ঘুমের দফারফা। ওই অন্ধকারে আমগাছের ডালপালার মধ্যে লুকিয়ে তার সঙ্গীত সাধনা থামাতে কত কাণ্ড। মাঝেসাঝে ফল খেতে আসত হনুমানের পাল। পালের গোদার বপু দেখে খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও টুক করে জানলা দিয়ে বাড়িয়ে দিতাম খাবার।
সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়িতে সে জমানায় এসির হাওয়া খাওয়ার শখ ছিল নাগালের বাইরে। উপরতলার ঘরে সিলিং ফ্যানের নড়াচড়ায় মনে হত গায়ে ছ্যাঁকা লাগছে। কত অসহ্য প্রবল গ্রীষ্মের রাতে প্রাণ জুড়ানো হাওয়ার উৎস ছিল ওই মহিরুহ। এমন এক ঘাম সপসপে রাতে বিছানায় শুয়ে যখন অনবরত পাশ ফেরার ব্যায়াম অনুশীলন করছি, হঠাৎ দেখি আমগাছের আড়াল থেকে দক্ষিণ-পুব কোণে লাল টুকটুকে মেঘ গুঁড়ি মেরে উঁকি দিচ্ছে। ওই দেখামাত্র এমন আরাম লাগল যে চোখ বুজে এল। সেই ঘুম সকালে ভাঙল যখন, ন’টা বেজে গেছে। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। আর আমার আমগাছ এমন অপরূপ সেজেছে যেন আজ তার উৎসব।
আশৈশব চোখের সামনে এ ভাবেই আমার গাছ দাঁড়িয়েছিল, রাজকীয় মেজাজে। হাবভাবখানা এমন, তাকে না নজর করে কোনও উপায় নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি এ ধারে ও ধারে বাড়তে থাকল, কাটা পড়ল সব গাছ। কিন্তু এই একা কুম্ভ রয়ে গেল। হয়তো আজও রয়ে যেত। বাদ সাধল বার্ধক্য, বাড়ির এবং তার দুপেয়ে বাসিন্দাদের। যে কোনও পুরানো বাড়ির যা পরিণতি, ভেঙেচুরে ধুলোয় মিশে যাবে, সেখানে উঠবে নয়া ফ্ল্যাটবাড়ি, এ অদূর ভবিষ্যত নিয়ে অসুবিধে ছিল না। কিন্তু যত সমস্যা ওই আমগাছকে নিয়ে। তার পরিণতি ভেবে অস্বস্তি হচ্ছিল খুব, কোনো ভাবে তার অংশ বাঁচানো যায় কিনা, মাথায় চিন্তা কিলবিল করতে থাকল। আসা যাওয়ার পথে হোক, বা দিনের বেশির ভাগ সময় যেখানে কাটাই, কলম করে যদি রাখা যায় সেখানে, দেখা যাক। সময় আছে, বাড়ি তো থাকছে এখনো কিছুদিন, অর্থাৎ আমগাছও।
কিন্তু সে ইচ্ছে উচ্চারিত হওয়ার আগেই আমগাছ কাটা পড়ল, বাড়ি ভাঙার অনেক আগে। মুখ্য শত্রুকে যে ভাবে নিকেশ করতে হয় সবার আগে। চৈত্রের এক সন্ধেয় বাড়ি ঢুকে দেখলাম আমগাছের কবন্ধ। কোথায় তার ঘন পাতায় ঘেরা ডালপালার ঝাঁক, মাটি থেকে সামান্য উঁচুতেই শেষ হয়ে গেছে গুঁড়ি। বাড়ি নিঃশব্দে বধ্যভূমির চেহারা নিয়েছে।
দ্বৈরথ
প্রকৃতির সঙ্গে, পরিবেশের সঙ্গে চেনাশোনা না থাকলে কি পরিবেশ চেতনা জাগানো যায়? আর সে চেতনার কতটা সংখ্যাতত্ত্বের জটিল হিসেবভিত্তিক জ্ঞানলাভের উপর নির্ভর করে, যেখানে বলা আছে একটি মানুষের এক বছরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন জোগান দিতে ঠিক ক’টা গাছ থাকা আবশ্যিক। রোজকার দিনযাপনের সঙ্গে তাকে মিলিয়ে-মিশিয়ে দিতে না পারলে প্রয়োজনের পুঁথিপড়া বিদ্যে দিয়ে কাঁহাতক তাকে বয়ে চলা যায়?
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সহপাঠী ছিল কালিম্পঙের একটি মেয়ে । কলকাতায় লেখাপড়ার জন্য সে থাকে পেয়িং গেস্ট হয়ে। নিজে বরাবর বাড়ির কাছের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে এসেছি। জানতে চাইলাম, “এতদিন বাড়ি থেকে দূরে থাকো, কী মিস করো বাড়ির?”
“জল”, খুব স্পষ্ট নিশ্চিত জবাব দিল মেয়েটি।
আমি অবাক। মা-বাবা নয়, ছোটো ভাই নয়, পাড়ার বন্ধুরা নয়, এমনকী মায়ের হাতের রান্নাও নয়, জল!
“তোমরা নলের জল খাও, আমাদের ওখানে ঝরনার জল, তার স্বাদই আলাদা। বাড়ি গিয়ে দৌড়ে দৌড়ে পাহাড়ের উপরে যাই, ওই জল খাব বলে।”
শহুরে প্রাচুর্যের রকমারি আয়োজনে তার তৃষ্ণা মেটে না — এ কথা জেনে প্রথমে অবাক হলেও মনে পড়ল, আমার আমগাছের কথা। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে শুরু করলেও যখনই ফিরতাম, পরিপূর্ণ ভাবে দেখে নিতাম গাছটাকে, সব ঠিকঠাক আছে তো? তার বরাবরের দাপুটে উপস্থিতি বজায় রয়েছে তো? সবাই ফোনের ওয়ালপেপার-এ প্রিয়জনের ছবি রাখে, আমিও রাখতাম, ফলের ভারে আমার আমগাছ ভরে আছে, সেই ছবি। আমার উত্তরবঙ্গ থেকে আসা সহপাঠী যেমন বাড়ি পৌঁছেই আঁজলা ভরে পান করত পাহাড়ি ঝোরার জল, চেনা পরিবেশে ফিরতে পারার আরাম যে ভাবে তার গলা ভেজাত, সে ভাবেই আমার আমগাছের সুদৃঢ় উপস্থিতি আমায় নিশ্চয়তা দিত, বহমানতার বার্তা দিত। কোনো নিরাপত্তাবোধের অভাব সে মেটাত কি না, তার ব্যাখ্যা মনোবিদ দিতে পারবেন।
গাছ বলতেই দীর্ঘদেহী শব্দটা মাথায় কি আর এমনি আসে? শেষ নেই, শুরু নেই, এমন এক গাছকে আপনজন বলে চিনেছিলাম, তাই কি টবে গাছ লালনপালন করায় কোনও ভাবেই আগ্রহী হতে পারলাম না? নাকি ভয় পেলাম, তাকে রক্ষা করতে না-পারার ব্যর্থতার যন্ত্রণা যদি সহ্য করতে না পারি! আমি যার নাগাল পাব না, অথচ যে আমায় ঢেকে রাখবে, আগলে রাখবে, বিনা দাবিদাওয়ায় নিঃশব্দে পূরণ করবে আমার অস্তিত্বরক্ষার আবশ্যিক শর্ত, তাকে আমি কী ভাবে রক্ষা করব, কে আমি, কী ক্ষমতা আমার? বিশ্বজুড়ে যে বাঁচাও বাঁচাও রব উঠেছে কখনও জল, কখনও মাটি, কখনও বনানী বা সমগ্র পরিবেশের নামে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানবসভ্যতার অহমিকার ঢাক পেটানো ছাড়া কিছুই না। আমি শ্রেষ্ঠ এবং সর্বশক্তিমান, আমি চাইলেই যে কোনও কিছু বাঁচাতে পারি, এই চরম অন্ধ আত্মবিশ্বাসই তো পুকুর বুজিয়ে, গাছ মুড়িয়ে ন্যাড়া হয়ে যাওয়া শহরে বৃক্ষরোপণের উৎসবপালন করায়। অবশ্য কার্যকারিতার মাপকাঠিতে মাপলে বোঝা যায়, সহস্রকোটির চোরাই মাল পাচার করার সময় আইনরক্ষকের হাতে উৎকোচের ছোট্ট থলে তুলে দেওয়ার মতো পবিত্র রীতি ছাড়া এ আর কিছু নয়। সবার মনের কথা, আহা, এটুকু তো করতেই হবে, তাহলেই দোষ কেটে যায় — ঠিক যে ভঙ্গিতে সর্বগ্রাসী পুঁজির পূজারিরা দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই-খাতা বিতরণ করার মহান সামাজিক দায় পালন করে হাত ধুয়ে ফেলেন।
প্রকৃতি থেকে বিচ্ছেদ সুনিশ্চিত করার পর পরিবেশ বাঁচানোর এই সব উদ্দেশ্য প্রকৃতপক্ষেই মহৎ, পন্থাও অভিনব। যেমন মার্কিনি সমাজ-সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাওয়া বন্ধুর কাছে গল্প শুনি, কীভাবে তারা এখন মূল শহর বা শহরতলি ছেড়ে বেশ সবুজ গ্রামীণ অঞ্চলে থাকার স্রোতের শরিক হয়েছে। এ ভাবেই তো পরিবেশবান্ধব স্বাস্থ্যকর অভ্যেস গড়ে উঠবে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে। আর তেল পুড়িয়ে নিয়মিত শহরে যাতায়াত? পরিবেশের কাছে বসবাস করার জন্য ওই আবশ্যিক মূল্য আসলে কে চোকাচ্ছে? উত্তর মেলে না। দিনরাত সামাজিক মাধ্যমের সূত্রে নানা লেখা ও ভিডিয়ো ভেসে আসে। কিচেন গার্ডেন কী এবং কেন, তা গড়ে তোলার সহজ উপায়, তাজা সবজি খাওয়ার উপকারিতা কী। প্লাস্টিকের প্যাকেট কেটে নারকেলি দুধ তৈরির পাউডার জলে গুলতে গিয়ে মনে পড়ে বাড়িতে মোট চারটে নারকেল গাছ ছিল। গাছ থেকে ডাব পাড়ার জন্য লোক এলে ডাবের জল জুটত, তবে নারকেল নয়। ওটা শুধু ঠাকুমার খাটের তলায় ডাঁই করা থাকে, প্রয়োজন মতো বের করে নিতে হয়— এমন সরল বিশ্বাসেই বড়ো হয়েছি।
বোকামো ব্যাপারটা সহজাত, নাকি প্রাচুর্যের অভ্যেস এভাবেই অজ্ঞ করে তোলে, নিশ্চিত নই। বোধবুদ্ধির অভাব যেমন আজও বোঝাতে পারে না, পাহাড়ের কোলে বা সমুদ্র সৈকতে থাকা বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে সুইমিং পুল থাকার প্রয়োজনীয়তা। নাগরিক জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে কংক্রিটের জঙ্গলে অনেক চমকের ব্যবস্থা করতে হয়। বহুতলের উপরে গড়ে তুলতে হয় গাছগাছালি মোড়া সরোবর। সবুজ-ঘেরা পুকুরপাড়ে দু-দণ্ড জিরোতে চাইলে সে শখ তো মাটিতে পা রেখেই মেটানো যেত, অনেক সহজে, শহুরে জীবনে এ সব প্রশ্ন তোলা মূর্খামি। মেঘের ভেলায় না চড়লে সাফল্য জিনিসটা ঠিক তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায় না, প্রমাণ করা মুশকিল হয় যে আমি অন্যদের থেকে ঠিক কতটা আলাদা, এগিয়ে থাকা। আমজনতার ভিড়ে আভিজাত্য ম্লান হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় তাই ট্যাঁকের জোর খাটিয়ে উচ্চ কোটি গগনে ঠাঁই গাড়ার অভ্যেস করেন রোজকার জীবনে। কিন্তু সবুজ দেখতে ব্যাগ গুছিয়ে ছোটার সময়, সমুদ্রের ঢেউ বা পাহাড়ের সারি দেখতে গিয়েও নিত্যদিনের ব্যবধান যাপনকে টেনে নিয়ে চলার প্রবণতা প্রকৃতিপ্রেমের প্রকৃত রূপ সম্পর্কে সন্দিগ্ধ করে তোলে।
অন্ত্যেষ্টি
বালুখণ্ড-কোনার্ক wild-life sanctuary। স্বর্গদ্বার থেকে কোনার্ক যাওয়ার পথে অটোয় চল্লিশ মিনিটের দূরত্ব। গেট পেরোলেই লালচে মেঠো পথ, যার দুধারে জঙ্গল, শেষে বালিয়াড়ি। নেমে পড়লেই সামনে অসীম সাগর। পুরীর সমুদ্রতটের ভিড়ের লেশমাত্র থাকে না এখানে। রীতিমতো মূল্য চুকিয়ে তবেই প্রবেশের অনুমতি মেলে, তাই হয়তো মানুষের আনাগোনা কম। বছর চারেক আগের শীতকালে প্রথম এখানে এসেছিলাম। এখন বর্ষা। কিন্তু এ বার ঢোকার পর থেকেই টের পাচ্ছি, চারপাশটা অন্যরকম। বৃষ্টিতে তো বনানীর আরও সবুজ, আরও মনোরম হয়ে সেজে থাকার কথা। কিন্তু তার বদলে দুপাশে দেখছি কালচে রং ধরা গুঁড়ি আর শুকনো ডাল, পাতার চিহ্ন নেই। সমুদ্রতটে নামতে গিয়ে দেখি একপাশে উঁচু বালিয়াড়ি তৈরি হয়েছে, গতবার ছিল না। স্থানীয় ডাববিক্রেতা জানালেন, সবটাই সাইক্লোন ফণীর অবদান। ২০১৯ এর মে মাসে যে তুফান থেকে পশ্চিমবঙ্গ রক্ষা পেয়েছিল, পড়শি রাজ্য তার দাপটে ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত, যদি না এই গাছের সারি বুক পেতে তাণ্ডবের প্রকোপ রুখে দিত।
গতবার সমুদ্রতটে ভিড় কম দেখে খুশি হয়েছিলাম। লোক অল্প থাকায় বেশ নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন পাড়। কিন্তু এ বার কোথাও কেউ নেই। গোটা পাড় খাঁ খাঁ করছে। শুধু দূরে জঙ্গলে গাছের কালচে কঙ্কালের সার দেখা যায়। গা ছমছমে নির্জনতা। গণচিতা নিভে যাওয়ার পর শ্মশান যেমন লাগে।
সুসান সিমার্ড বই-এর ভূমিকায় লিখেছেন, কীভাবে গাছ বাঁচানো যায়, তাঁর বই সে কথা বলেনি। বরং তাতে রয়েছে, কীভাবে গাছ আমাদের বাঁচাতে পারে।
আমরা বাঁচতে চাই কি না, সে কথা অবশ্য ভবিষ্যত লিখবে!