সুমিত দাশ
আমরা শুনি ওসব ডিপ্রেশান টিপ্রেশান সব বড়োলোকদের রোগ। দুঃখবিলাস ওদের সাজে গরিবদের নয়। আদতে কিন্তু তা নয়। মানসিক রোগ সব অর্থনৈতিক শ্রেণির মধ্যেই হয়, শুধু কারণ আর রোগের প্রকাশ কিছুটা আলাদা হয়। আসলে এটা তো সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধিতেই বলে যার প্রত্যেকদিন খাওয়া থাকার নিশ্চয়তা নেই সে কী করে মানসিকভাবে আনন্দে থাকবে। তাই সারা পৃথিবীতে সমীক্ষা করে দেখা গেছে মানসিক রোগ বর্তমান দুনিয়ায় যে-হারে বাড়ছে তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য। এই পৃথিবীতে মোটামুটি নব্বই কোটির মতো মানসিক রোগী আছে। আর প্রতি দশ জনের মধ্যে আটজন মানুষ দরিদ্র দেশের বাসিন্দা।
কী কী ধরনের মানসিক রোগ বাড়ছে
দরিদ্র পৃথিবীতে সবথেকে বাড়ছে বিভিন্ন রকমের ফোবিয়া বা আতঙ্ক রোগ। তার মানে কোনও একটা নির্দিষ্ট জিনিস বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ভয় পেয়ে যাওয়া। তখন আক্রান্ত ব্যক্তি চেষ্টা করে সেই বিষয় বা পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাবার। সেটা ভিড় জায়গায় যাবার ভয় বা খুব ফাঁকা জায়গায় যাবার ভয়। আকাশে বাজ পড়ার ভয়। জোরে ঘণ্টা বাজার ভয়। বিশেষ কিছু মানুষেকে ভয় হতে পারে।
আছে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ অর্ডার। অর্থাৎ কোনও কারণে মানুষটি কোনও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল যেটাতে তার নিজের বা অন্য কোনও মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বা হতেও পারত, এর পর থেকে এক অদ্ভুত আতঙ্ক রোগে ভুগতে থাকে। বারবার সেই ঘটনা মনে পড়া। ভয় পাওয়া। সেই জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে যাওয়া। দুঃস্বপ্ন দেখা। ঘুম ক্ষিধে কমে যাওয়া ইত্যাদি।
একটি রোগকে সোমাটিক সিম্পটম ডিজ অর্ডার বা শারীরিকরণ রোগ বলে। এই রোগের প্রকাশ হয় বিভিন্ন ব্যথা বেদনা, হজমের সমস্যা, বুক ধড়ফড় নিয়ে। কিন্তু কোনও পরীক্ষায় কোনও রোগ ধরা পড়ে না। দেখা যায় মানসিক চাপ এ রোগের কারণ। এই শারীরিকরণ রোগ মহিলাদের বেশি হয়। কারণ হিসেবে ভাবা হয়, মহিলারা এই ধরনের পরিবারে স্বাভাবিক নিয়মে চাপে থাকেন। এবার ডিপ্রেশান বা অবসাদ হয়েছে তাই কাজের ইচ্ছে নেই বলে কাজ করবেন না, সেটা বাড়ির বিশেষত পুরুষরা মানবেন না। তাই অবচেতনভাবেই দেহের কোনও যন্ত্রনা ফুটে উঠে। সেটাই পরিবারের অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বা সহানুভূতি আদায় করে। সম্ভবত শারীরিকরণ রোগ বাড়ার কারণ এটা।
আছে উদ্বেগ রোগ। সব কিছুতে আগ বাড়িয়ে চিন্তা। কাজটা হবে তো। বা পারব তো করতে কাজটা। আর বাড়ছে অবসাদ বা ডিপ্রেশান। অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া অবস্থানের জন্য হতাশা, দুশ্চিন্তা, কাজে অনীহা। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে না-পাওয়া। তাই আত্মহত্যার চিন্তা।
আত্মহত্যার চিন্তা এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা করা। দেখা গেছে দারিদ্র্যের সাথে আত্মহত্যার সরাসরি যোগাযোগ আছে। একটা তথ্য দেওয়া যাক। ভারতবর্ষে যারা আত্মহত্যা করে তাদের ৭০% মানুষের আয় বছরে এক লাখ টাকার কম, অর্থাৎ দরিদ্র এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ। অন্যদিকে, আত্মহত্যার কারণ যতই ব্যক্তিগত হোক, যেমন প্রেমে ব্যর্থতা, পারিবারিক অশান্তি যাইহোক, সেই একই কারণে বেশি আত্মহত্যা করেও দরিদ্র মানুষেরা। জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো একটা বড়ো হার সামলানোর মতো সুস্থির থাকতে পারে না।
আর অবসাদের বিপরীত উল্লাস রোগ বা ম্যানিয়া এবং স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগ তো চিরকালীন।
দরিদ্র মানুষদের মানসিক চাপের ধরন
দেখা গেছে অনিশ্চয়তা হচ্ছে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মূল কারণ। আর মানসিক চাপ হলেই মানসিক রোগ হবার সম্ভাবনা বাড়ে। দরিদ্র মানুষদের জীবনে সবথেকে বড়ো চাপ হচ্ছে খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতা। এছাড়া আছে সুরক্ষিত আবাসের অভাব, শিক্ষার অভাব, সামাজিক সুরক্ষার অভাব। আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তো চিরসঙ্গী রূপে আছেই। এই এতগুলো অনিশ্চয়তা কীভাবে তাদের কাছে প্রকাশিত হয় সেগুলো একটু দেখে নেওয়া যাক।
দরিদ্র মানুষদের জীবনে সুযোগ অনেক কম। কোনও সমস্যায় পড়লে মানুষ তার রিসোর্সগুলো কাজে লাগায়। একটা তথাকথিত উপরের শ্রেণির মানুষের এই রিসোর্স অনেক বেশি। এমনকি অর্থনৈতিক ভাবে খুব শক্তিশালী না হয়েও সামাজিক অবস্থানের জন্য স্বাস্থ্য সমস্যা, আইনি সমস্যা বা প্রয়োজনে অর্থনৈতিক সাহায্যের রিসোর্স বেশি থাকে। কিন্তু দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে একই সমস্যায় পড়লে সেখান থেকে বেরোতে যে সহায়-উপায় প্রয়োজন সেগুলো অনেক কম। তাই জীবনের অনেক সমস্যারই সমাধান এদের হয় না।
এরা যে কাজগুলো করে, যেমন মোট বওয়া, সাফাইয়ের কাজ, রিক্সা টানা, খেত মজুরি, কারখানার শ্রমিক, জোগাড়ের কাজ ইত্যাদি — এগুলো আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঠিক সম্মানজনক কাজ বলে ধরা হয় না। যেটা সবসময়ই তাদের কাছে চাপের।
ভালো থাকতে গেলে সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয় ভালো বন্ধুর। কিন্তু দরিদ্র মানুষদের ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব নষ্ট হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যখন টাকার দরকার সে হাত পাতে তার কোনও বন্ধুর কাছে। যার সামাজিক অবস্থান তার মতোই দরিদ্র শ্রেণিতে। তাই যখন ঠিক সময় সে টাকা পরিশোধ করতে পারে না বন্ধুত্ব নষ্ট হয়। মনে চাপ সৃষ্টি হয়।
এরকম নানারকম কারণে মনে চাপ বাড়লে মানসিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। মানসিক চাপ বাড়লে দেখা গেছে মানুষের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও ভাঙন ধরে। ফলে শারীরিক রোগও শুরু হয়। এই শরীর এবং মনের রোগের চিকিৎসায় খরচ বাড়ে। দেখা গেছে, দরিদ্র শ্রেণির লোক সংখ্যায় বেশি আছে যে-সব দেশে সে-সব দেশে সরকার সকলের জন্য স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেয়নি। তাই নিজের পয়সায় চিকিৎসা করতে হয়, যার ক্ষমতা এদের কম। আবার চাপ। আবার মনের রোগের বৃদ্ধি। এরা যেন একটা দুষ্ট চক্রর মধ্যেই পড়ে যায়।
এখানে একটা কথা প্রসঙ্গত বলি। খাদ্য বা অন্যান্য সুরক্ষার জন্যে সরাসরি টাকা মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়ে বিরাট কিছু লাভ হয় না। বলা যেতে পারে মিশ্র ফল দেখা যাচ্ছে। মেক্সিকোর একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল সরাসরি নগদ টাকা হাতে পেয়ে চাপ বা মানসিক অবসাদ কিছুটা কমেছিল, কিন্তু ইকুয়েডরে দেখা গেছে এই নগদ টাকা হাতে পাওয়ার সাথে অবসাদ কমেনি। কেনিয়াতে আর একটা মজার ফলাফল পাওয়া গেছে। চাপ বা স্ট্রেসেরস পরিমাণ মাপার জন্যে রক্তের কর্টিজল হরমোন মাপা হয়। কেনিয়াতে দেখা গেছে সরাসরি নগদ টাকা পেয়ে বাহ্যত মানসিক চাপ কমেছে কিন্তু কর্টিজল কমেনি।
অপরদিকে দেখা গেছে মানুষের ভালো থাকার সাথে কাজে যুক্ত থাকার সরাসরি যোগাযোগ আছে। তাই দারিদ্র্য মেটানো এবং তার মানসিক চাপ কমানোর জন্য কর্মসংস্থান ব্যতীত কোনও বিকল্প নেই।
নারী ও শিশুদের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব
একটা মানুষের চরিত্র তৈরি হয় মূলত দুটো বিষয়ের ওপর। হেরিডিটি এবং পরিবেশ। অর্থাৎ একটা মানুষ কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মাল যেটা তার জিন নির্ধারিত। এরপর সে যত বড়ো হতে থাকল তার হেরিডিটি এবং পরিবেশের পারস্পরিক ক্রিয়ায় তার ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। নিম্নবিত্ত ঘরে একটি শিশু বড়ো হচ্ছে এমন একটা পরিবেশে, যেটা মানদণ্ডে ঠিক স্বাস্থ্যকর নয়। হয়তো একটি মাত্র ঘরে পাঁচ ছ-জন মানুষ থাকে যাদের বয়স ভিন্ন। যাদের ভাষা আচরণ সবই আলাদা। অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যে বাবা-মায়ের মধ্যে নানারকম দ্বন্দ্ব চলে। যার ফলে ঝগড়াঝাঁটি মারপিট অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ সবই হয়। অর্থাৎ শিশুর কাঁচা মনকে যে যত্ন নিয়ে বাবামায়ের বড়ো করার দরকার সেটা এরকম পরিবেশে বাস্তবিক হয়ে ওঠে না। তাই এরকম শিশুরা অন্যদের তুলনায় উগ্র স্বভাবের হয়ে ওঠে। স্কুলে অন্য বাচ্চাদের উত্যক্ত করা থেকে মারামারিতে এরা জড়িয়ে যায়। স্কুলের নিয়ম কানুন ভাঙে প্রায়শই। বলাই বাহুল্য পড়াশুনোও ভালোমতো করে না। স্কুলছুট হয়।
এসব পরিবারের কিশোরদের আরও বদমেজাজি হয়ে পড়ার সম্ভাবনা। অনেকে অপরাধমূলক কাজ, চুরি ছিনতাইতে জড়িয়ে পড়ে। বা বড়ো গ্যাং-এর পাল্লায় পড়ে ডাকাতিতে। আর আছে নেশার সমস্যা। ডেন্ড্রাইট, গাঁজা, মদের নেশায় জড়িয়ে যায় এ-ধরনের কিশোররা। কিশোরীদের সমস্যা একটু অন্য রকমের। যেহেতু তারা স্বভাবত একটু শান্ত স্বভাবের হয় তাই পরিবেশগত চাপ তাদেরকে আরও অন্তর্মুখী করে ফেলে। অনেকের নানা রকম মানসিক রোগ, যেমন অবসাদ, উদ্বেগ রোগ হয়।
দরিদ্র পরিবারের নারীরা এখন অনেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করলেও সংসারের দৈনন্দিন কাজের দায়িত্ব মূলত তাদেরকেই নিতে হয়। অর্থাৎ রান্নাবাড়া, ঘর পরিষ্কার, বাচ্চা পালন ইত্যাদি। যেহেতু অর্থনৈতিক ভাবে সংসারকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারে না, তাই তার গৃহশ্রম স্বাভাবিক কর্তব্য ধরে নিয়ে শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। এটাও তার কাছে এক ধরনের চাপ।
আর আছে গৃহহিংসা। যার মূল শিকার হচ্ছে নারীরা। সারা পৃথিবীতে দেখা গেছে নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে অর্থাৎ যেখানে দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব বেশি সেখানে গৃহহিংসা বেশি। তাই সাবসাহারান দেশ, উত্তর-আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ, দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে গৃহহিংসা বেশি। ভারতবর্ষে প্রতি তিনজন নারীর একজন গৃহহিংসার শিকার। মূল কারণ — সামাজিক ভাবে স্বীকৃত যে, নারী হচ্ছে দুর্বল লিঙ্গ এবং স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যকে খুশি রাখাটা তার পরম কর্তব্য। এই খুশি রাখার কাজগুলির মধ্যে পড়ে — রান্নাবাড়া, ঘর ঝাঁট দেওয়া, সকল সদস্য বিশেষ করে স্বামীর সমস্ত ফাইফরমাশ খাটা, ঘর থেকে অনুমতি নিয়ে বাইরে যাওয়া, বাচ্চাদের কোনও অবস্থাতেই অবহেলা না-করা, স্বামী সহবাসে আপত্তি না-করা ইত্যাদি। এবং এর কিছু মাত্র অন্যথা হলে স্বামী তাকে মারতে পারে। সবথেকে দুর্ভাগ্যজনক হল, এই ব্যবস্থা অলিখিতভাবে সামাজিকভাবে স্বীকৃত হয়ে গেছে। একটা পরিসংখ্যান দিলে বোঝা যাবে। ২০২১ সালে একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা ৪০ শতাংশ নারী এবং ৩৮ শতাংশ পুরুষ মনে করে, স্ত্রী তার উল্লেখিত ভূমিকা পালন না-করলে তাকে মারা যায়। সবথেকে উদ্বেগজনক হচ্ছে পুরুষদের থেকে বেশি নারীরা এই মতে বিশ্বাস করে। আসলে তাদেরকে ছোটো থেকে এই সামাজিক পরিমণ্ডলে বড়োও করে তোলা হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে, মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। এর পাঁচ বছর আগের সমীক্ষাতে ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪২ শতাংশ পুরুষ ‘হ্যাঁ’ বলেছিল। গৃহহিংসা মানসিক রোগের একটা বড়ো কারণ।
পরিশেষে
একটা সমীক্ষা বলছে পৃথিবীর মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের হাতে ৮৫ শতাংশ সম্পদ আছে। আর ভারতবর্ষে সদ্য হওয়া অক্সফ্যাম রিপোর্ট বলছে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে ৪০.৫ শতাংশ সম্পদ আছে। আরও বলছে গত দশ বছরে দেশে যে সম্পদ তৈরি হয়েছে তার ৪০ শতাংশ গেছে ওই ধনী ১ শতাংশের হাতে; তাই বেড়েছে বিলিয়োনেয়ারের সংখ্যা। ২০২০ থেকে ২০২২ — এই দু-বছরে ১০২ থেকে হয়েছে ১৬৬ জন। কিন্তু আরও ৩ শতাংশ লোক নীচের অর্ধে নেমে গেছে। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। এ যেন এমন একটা সিস্টেম যেখানে বেঁচে থাকতে উচ্চবিত্তরাই যোগ্যতম বা বিবর্তনের ভাষা বদলে বলা যায় সারভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট। কিন্তু এই সিস্টেমের পক্ষে বলা হয় সামগ্রিকভাবে জিডিপি বা সম্পদ বাড়লে সেটা ওপর তলার লোকের হাতে বাড়লেও তার সুফল নীচের তলায় চুইয়ে এসে পড়ে। কিন্তু আদতে কি তাই? দেখা গেছে চরম দারিদ্র্য না থাকলেও আপেক্ষিক দারিদ্র্যও মানসিক চাপের একটা বড়ো কারণ। অর্থাৎ, হয়তো মানুষের অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের ন্যূনতম ব্যবস্থা আছে কিন্তু ধনী ও দরিদ্রের আয় ও সম্পদের ফারাক আকাশ পাতাল। সেই আপেক্ষিক দারিদ্র্যের প্রভাবও মানুষের স্ট্রেসের কারণ।
সময় এসেছে এই সিস্টেম বদলানোর। নাহলে দারিদ্র্য আরও বাড়বে, বাড়বে ধনের বৈষম্যের চাপ, বাড়বে মানসিক রোগ।