প্রৈতি চক্রবর্তী
মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’ নামে একটা অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৩ সালে। বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেই মিউজিক ভিডিও যাকে বলে সুপারহিট, কিন্তু কী ছিল ওই ভিডিয়োতে? দুঃস্বপ্ন, হিংস্র শ্বাপদে মানুষের রূপান্তর, কবর থেকে উঠে আসা প্রেতাত্মাদের ঘিরে ফেলা — সব মিলিয়ে সে এক বিভীষিকা। জ্যাকসনের নাচ-গানের কথা স্বতন্ত্র, কিন্তু ওই ভিডিয়োর আসল চুম্বক ছিল ‘ভয়’। কারণ, ভয় এক প্রাগৈতিহাসিক অনুভূতি, যার সাথে সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ সংসার করে চলেছে। গুহামানবের ভয় ছিল জন্তুজানোয়ারের আক্রমণ, আধুনিকতাকে ঘিরে রাখছে পরমাণু যুদ্ধের আতঙ্ক। থ্রিলার বিষয়টা ভয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে৷ এখানে শেষ মিনিট পর্যন্ত চেয়ার ছেড়ে না-ওঠার উত্তেজনা, রোমাঞ্চকর সব অভিযান, ব্যতিক্রমী কিছু অপরাধ আর অপরাধীকে শনাক্ত করতে গিয়ে তুখোড় বুদ্ধির খেলা। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে সিনেমাটোগ্রাফি আর শব্দের আধুনিক প্রযুক্তি, যা দর্শক-শ্রোতাকে নিয়ে ফেলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিমণ্ডলে। একবার এই জগতে ঢুকে পড়লে কার্যত বেরোনো অসম্ভব। কল্পবিজ্ঞানের বই থেকে শুরু করে আজকের ডার্ক ওয়েব সিরিজ — সর্বত্র জয়জয়কার এই থ্রিলারের।
‘Binge’ শব্দটার অর্থ অনিয়ন্ত্রিত গ্রহণ। মদ্যপানের সঙ্গে এই শব্দটির সংশ্রব বহুদিনের। ‘বিঞ্জ ড্রিঙ্কার’ বলতে আমরা এমন এক ব্যক্তিকে বুঝি, যিনি হয়তো রোজ পান করেন না, কিন্তু একবার পান করা শুরু করলে থামতে পারেন না। এবং পানদোষের পর্বটি পর্যায়ক্রমে আসে। অনেক সময় এতটাই অস্বাভাবিক হয়ে যায় এই অভ্যাস, যে তার জন্য আবাসিক চিকিৎসাও করতে হয়। Behaviour addiction বা ব্যাবহারিক নেশা — এই শব্দযুগলটি গত এক দেড় দশকে মনস্তত্ত্ব-বিজ্ঞানকে প্রভূত প্রভাবিত করেছে। ব্যাবহারিক নেশায় আসক্ত ব্যক্তিটি মদের মতো কোনো নেশার বস্তু গ্রহণ করছেন না, তিনি বিশেষ একটি ব্যবহার বারবার করে ফেলছেন এবং সেটি হয়ে যাচ্ছে লাগামছাড়া। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে তাঁর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, তাঁর পেশা ও পরিবার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই নেশার প্রকোপ কম নয়। ‘Binge watching’-কেও এই ব্যাবহারিক নেশার মধ্যে গণ্য করা যায়। যে ব্যক্তি বিঞ্জ ওয়াচ করেন, তিনি কোনো ওয়েব সিরিজের তিন বা ততোধিক পর্ব একই সিটিং-এ পর পর দেখে যান অথবা তিনি যত দ্রুত সম্ভব কীভাবে সিরিজটি দেখা শেষ করবেন — সেটা নিয়ে ভাবতে থাকেন ও দেখা শেষ করেন। তাঁর অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্ম তখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। শুধু সিরিজ নয়, টি ভি সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও এমন বিঞ্জ ওয়াচিং হতে পারে যখন দর্শক পর পর সিরিয়ালের পর্ব না-থেমে দেখতেই থাকেন এবং দেখতে গিয়ে বাকি সব কাজ অগ্রাহ্য করেন। ‘বিঞ্জ ওয়াচিং’ শব্দবন্ধটি অনেকদিনেরই, কিন্তু নেটফ্লিক্স বা আমাজন প্রাইমের দিনকাল আসার পরে এর ব্যবহার বাড়ে। কলিন’স ইংরেজি অভিধান ২০১৫ সালে এটিকে ‘বছরের সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ’-এর শিরোপা দেয়। তার আগেই ২০১৩-১৪ সালে নেটফ্লিক্স তাদের রিপোর্টে জানায় যে ৬১% ব্যবহারকারী প্রতিদিন নেটফ্লিক্স দেখেন এবং প্রধানত দর্শক-পছন্দের উপরের সারিতে আছে কল্পবিজ্ঞান ও থ্রিলার। শুধু তাই নয়, এগুলো দেখার পর ৭৩% দর্শকের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। তাঁরা চান এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো সিরিজ দেখা শেষ করে ফেলতে। এবং সিরিজ দেখা শুধুমাত্র কমবয়সিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ভারতীয় দর্শকদের উপর করা স্টাডি রিপোর্টে হটস্টার জানায়, তাদের ৮১% দর্শক পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব এবং ৬৩% দর্শক আধাশহর বা মফস্সলের বাসিন্দা। সুতরাং, মেট্রো শহরগুলোর বাইরে ওয়েব সিরিজ কম জনপ্রিয় নয়।
কেন আমরা থ্রিলারে অনুরক্ত? শুধু অনুরাগ নয়, আসক্তির দিকে কেন চলে যায় আমাদের মন? এর মূলে কিন্তু লুকিয়ে আছে আমাদের পূর্বসূরিদের শিকারের শিক্ষা। যখন হাতে ছিল না অস্ত্র, বাহন ছিল না চাকা, আগুন জ্বালিয়ে পালা করে কাটত বিনিদ্র রাত — তখন থেকেই ভয়ের জয়গান শুরু। কালক্রমে সেটিই ‘ফিয়ার কন্ডিশনিং’-এর প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় দখল করে নিয়েছে আমাদের মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ, আমরা যাকে ‘অ্যামিগডালা’ নামে চিনি। আমরা কখনও ভয়কে দূরে সরিয়ে দিতে পারিনি, যত দিন গেছে, ভয়ের সঙ্গে ঘর করেছি আর নিরাপদ দূরত্বে থেকেও উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছি নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক। আমরা রিমোট হাতে কফি মাগ নিয়ে জমিয়ে বসে দেখছি কবর থেকে উঠে-আসা আত্মাকে, আর শিহরিত হচ্ছি সেই কাউন্টারফ্যাকচুয়ালটা ভেবে যে যদি আমরা ওই সময় কবরস্থানের আশেপাশেই থাকতাম তবে কী হতে পারত! নিজের মনে গড়ে তুলছি এক সমান্তরাল বাস্তবতা। সেখানে রাজত্ব করছে মুখোশের আড়ালে আমাদেরই সন্ত্রস্ত মুখচ্ছবি। থ্রিলারের গল্পের অভাবনীয় সব মোচড় আমাদের স্নায়ুকে টানটান করে রাখছে। যখন পরবর্তী পর্বের জন্য শুরু হচ্ছে অপেক্ষা, আমাদের মস্তিষ্ক জানান দিয়ে দিচ্ছে তার নিজস্ব ‘আনন্দদায়ক নিউরোট্রান্সমিটার’ বা ডোপামিন ক্ষরণ করে — ডোপামিন আমাদের দিচ্ছে কাঙ্ক্ষিত সুখানুভূতি, যার জন্য আমরা টানা বসে দেখে ফেলছি পর্বের পর পর্ব। মস্তিষ্কের ‘নিউক্লিয়াস অ্যাকুম্বেন্স’ থেকে এমনিই ক্ষরিত হয় ডোপামিন, তবে সেটা অল্প অল্প করে ধাপে ধাপে (tonic release)। যখন আমরা জন্মদিনের কেক কাটি বা কোনো পুরস্কার পাই বা বিয়েবাড়িতে গিয়ে আনন্দ করি — ডোপামিন নিঃসরণ সেই আনন্দের শরিক হয়। কিন্তু যে কোনো নেশায় সেই ডোপামিন আর স্বল্প পরিমাণে ক্ষরিত হয় না, কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ঝলকে ঝলকে সে বেরোয় (phasic release), যেমন ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে আসে লাভা। এই ডোপামিন নিঃসরণ আমাদের আসক্ত করে দেয়, যখন আমরা একটা পর্ব দেখা শুরু করি, সে আমাদের নিঃশব্দে ঠেলে দেয় আরও আরও বেশি সময় কাটানোর দিকে। সেই ডোপামিনের সমুদ্রে আমরা ভেসে যাই, ক্রমে নিমজ্জিত হই। ধীরে অথচ নিশ্চিতভাবে আমরা নিজেদের শনাক্ত করে ফেলি থ্রিলারে দেখা এক বা একাধিক চরিত্রের সাথে। তার হয়ে কথা বলি, তার হয়ে পথ চলি। তার মতোই পা হড়কে পড়ে যাই আর পড়তে পড়তে হাতে বন্দুক তুলে নিই। এইভাবে চরিত্রগুলো কোন এক জাদুবলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে সংবাহিত হয়ে যায়, সে চরিত্র দুঃখ পেলে আমাদের কষ্ট হয় আর ভয় পেলে আমরাও ভীত হয়ে পড়ি। এই করে করে একটা ভার্চুয়াল জগৎ আমাদের গ্রাস করে ফেলে। অন্যরকম একটা বৃত্তে আমরা নিজেদের নিয়ে যাই, যার পরিধি জুড়ে বিপদের সারি রাখা। নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকি, বিপদ ক্রমেই এগিয়ে আসে, আর মস্তিষ্ক ক্রমে ক্রমে উত্তেজিত হতে থাকে। যখন শেষ হয়ে যায় সিরিজ, অভিযান সম্পন্ন হয় বা অপরাধী ধরা পড়ে যায়, আমাদের স্নায়ুও শীতল হয়ে আসে আর মনে হয়, অনেকটা চাপ যেন শরীর থেকে নেমে গেল। নিজেদের উদ্বেগ-মুক্ত রাখার বিবিধ স্বাস্থ্যকর উপায় ফেলে রেখে আমরা নিজেরাই নির্বাচন করে চলি বিঞ্জ ওয়াচিং-এর মতো ব্যাবহারিক নেশার জগৎ।
আমাদের মধ্যে যে কেউ কি ব্যাবহারিক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়তে পারে? না। কারণ, প্রতিটি মানুষের জীনের গঠন ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ভিন্ন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বাইরের পৃথিবী থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করার বিষয়ে অধিক সংবেদনশীল — তাদের কাছে বিঞ্জ ওয়াচিং বিষয়টা বেশি আনন্দ দেয়। কেউ আবার নতুন অভিজ্ঞতা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অধিকতর মুক্তমনা। এমনও অনেকে বলেন, ‘লো এম্প্যাথি’ বা কম সহমর্মী মানুষের থ্রিলার বিঞ্জ ওয়াচ করার প্রবণতা বেশি। প্রবীণদের তুলনায় নবীনদের মধ্যে বেশি দেখা যায় থ্রিলার দেখার অভ্যাস। লিঙ্গভেদেও কিছু তারতম্য লক্ষ করা যায়। যে থ্রিলার যত বেশি আতঙ্কের জন্ম দেয় — সাধারণত ছেলেরা সেটাই পছন্দ করে আর মেয়েরা পছন্দ করে যে থ্রিলারগুলোর একটা ‘হ্যাপি এন্ডিং’ বা আনন্দদায়ক সমাপ্তি আছে। আর্থ-সামাজিক স্তরবিন্যাসেরও একটা ভূমিকা আছে থ্রিলার দেখার বিষয়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থনৈতিক সুরক্ষা আমাদের থ্রিলার দেখায় প্রণোদনা দেয়। কারণটি সম্ভবত প্রতিরক্ষার অনুভূতি। যখন মাথার উপর ছাদ নেই বা পাকস্থলীতে নেই পরিমিত আহার — তখন যে জগৎ শুধু ভয় আর অনিশ্চয়তা বয়ে আনে, সেই জগতের প্রতি বীতরাগ স্বাভাবিক। তাই দেখা যায়, উন্নত জি ডি পি-র দেশগুলিতে থ্রিলার অনেক বেশি জনপ্রিয়। কোভিড ১৯ মহামারির সময় ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে টাইমস অফ ইন্ডিয়া একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানেও ছিল একই বিষয়ের প্রতিফলন। ওই কঠিন সময়ে দর্শকের একটা বড়ো অংশ থ্রিলার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ঝুঁকেছিলেন কমেডি বা মিউজিক্যাল শো-গুলোর দিকে — জীবন ও পেশার অনিশ্চয়তা অনেকটাই নেতিবাচক করে দিয়েছিল থ্রিলার দেখার প্রবণতা।
যারা বিঞ্জ ওয়াচিং করে, তাদের কাছে এটি ইতিবাচক অনুভূতির স্বাদ। তাদের মতে, টানটান উত্তেজনা ও অপরাধী ধরে ফেলা— এগুলো দেখে যুক্তি-বুদ্ধি ক্ষুরধার হয়। কিছুক্ষণের জন্য হলেও ঘুরে আসা যায় সমান্তরাল দুনিয়া থেকে আর তাতে মানসিক চাপ কমে যায়। কিন্তু এহ বাহ্য। বিঞ্জ ওয়াচিং-এর খারাপ দিকটা, ভালো দিকটাকে বহুদিন আগেই অতিক্রম করে গেছে। বিঞ্জ ওয়াচিং-এর পর একটা ইমোশনাল শূন্যতা গ্রাস করে, যা থেকে আসতে পারে অবসাদ। ক্রমাগত থ্রিলার দেখতে দেখতে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, আসে শ্বাসবায়ুজনিত উদ্বেগ ও অস্থিরতা। আর বিঞ্জ ওয়াচাররা অন্যান্য সব কিছুর থেকে ওই দেখাটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলে। তার ফলে নষ্ট হয় পড়াশোনা বা কাজ। ক্ষয়িষ্ণু হয় সম্পর্ক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিঞ্জ ওয়াচ করে সে আর অন্য কোনো বিষয়ে উৎসাহ পায় না। সমাজ সংসারে সে হয়ে যায় কোণঠাসা মানুষ। এভাবেও আসে হতাশা, যার পরিণতি প্রায়শই ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন।
ব্যাবহারিক নেশার জগৎ দ্রুত দখল করে নিচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মন। একাকিত্ব বাড়ছে, কমছে সম্পর্কের উষ্ণতা। তামাক, মদ বা গাঁজার থেকে কোনো অংশে কম নয় এ নেশার হাতছানি। এর প্রতিকার কী? যদি বিঞ্জ ওয়াচিং-এর কাছে জীবনের বাকি সব কিছু গৌণ হয়ে যায়, শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ গ্রাস করে, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা তার শিকড় ছড়িয়ে দিচ্ছে গভীরে। ওয়েব সিরিজ বা সিরিয়াল একপ্রকার বিনোদন, কিন্তু আমরা যেন তার ক্রীড়নক না হয়ে যাই। কয়েকটা সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করলেই একটু সাবধান হওয়া যায়। যখন দেখতে বসব, আমরা প্রথম থেকেই ঘড়ি দেখে স্থির করে নেব কখন শেষ করে উঠব। একবারে কতগুলো পর্ব দেখব, সেটাও থাকবে স্থিরীকৃত। শুধুমাত্র থ্রিলার দেখব না, আরও অন্যান্য জঁর যেমন সামাজিক গল্প বা কমেডি — সেগুলোতেও মন দেব যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে। সিরিজ দেখা ছাড়াও আমরা লালন করে চলব আমাদের অন্যান্য শখ বা ভালো-লাগাগুলোকে। ছবি আঁকা বা গান বা নাচ বা গিটার বা শরীরচর্চা — যার যা ভালো লাগে, তার জন্য সময় বাঁচিয়ে রাখব। পরিবার ও বন্ধুদের সময় দেব। দেখব যেন অন্যান্য কোয়ালিটি টাইম উপেক্ষা করে আমরা শুধু সিরিজ না-দেখে যাই। এবং কাজের সময় নয়, শুধুমাত্র অবসরে দেখব সিরিজ। মাঝেমধ্যে অবশ্যই বিরতি নেব। নিজেকে বুঝিয়ে নেব, এক সপ্তাহ টানা সিরিজ না দেখেও দিব্যি ভালো সময় কাটানো যায়। আর যদি মনে হয় এত কিছু করেও আসক্তি থেকে বেরোনো যাচ্ছে না, মনোবিদের পরামর্শ নেব। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে এটুকু যে করতেই হবে!